না ফেরার দেশে চলে গেলেন ব্র্যাককর্মী রনদীর তালুকদার (৩৪)। নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখেছিলেন রনদীর। আর সেখানে তার মৃত্যুর কারণও জানিয়ে গেছেন।

ওই চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য ম্যানেজার দায়ী।’ তবে লেখাটি রনদীরের হাতের লেখা কী না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রাম থেকে রনদীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার বিছানা থেকে ওই চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত রনদীর পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার শমিপুর গ্রামের মৃত কৃষ্ণধন তালুকদারের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রনদীর দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের কুমুদগঞ্জ ব্র্যাক শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। এই সুবাদে তিনি ওই ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন।

প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় যান রনদীর। এরপর পাশের বাসায় একজন তার ঘরে এসে দেখতে পায় তার নিথর দেহ ঘরের ফ্যানের রডের সঙ্গে ঝুলে আছে।

এই দৃশ্য দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাতে থানায় নিয়ে যায়।

দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মাহাবুবুর রহমান জানান, রনবিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, একটি চিরকুট পাওয়া গেছে নিহতের বিছানায়। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।